ঢাকা ১০:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জলবায়ু ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের চার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১
  • ১৪৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কার্বন নিঃসরণ ঘটিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ‘মুজিব জলবায়ু উন্নয়ন কর্মসূচি’ হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে শুরু হওয়া জলবায়ু সামিট-২০২১ তে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান।

বক্তব্যের শুরুতেই সামিটের আয়োজন ও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করার অংশ হিসেবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসাকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ।

জলবায়ু মোকাবিলায় প্রতিবছর আমরা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় করি। যা মোট জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যোগ করেন শেখ হাসিনা।

 

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে ৩০ মিলিয়ন বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে এবং কার্বন নিঃসরণ ঘটিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে ‘মুজিব জলবায়ু উন্নয়ন কর্মসূচি’ হাতে নেওয়া হয়েছে।

জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভি২০- এর চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য হলো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মাঝে ইন্টারেস্ট ধরে রাখা। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয় পরিচালনা করছি।

এ সময় জলবায়ু মোকাবিলায় চারটি পরামর্শ দেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। বলেন, কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে উন্নত দেশগুলোকে তাৎক্ষণিক এবং উচ্চমানের পদক্ষেপ নিতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও এই সেক্টরে নজর দিতে হবে।

 

দ্বিতীয় পরামর্শটি হলো, বার্ষিক টার্গেট ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল নিশ্চিত করতে হবে। যা জলবায়ুতে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য অভিযোজন এবং প্রশমনের ক্ষেত্রে ৫০-৫০ করে ভাগ করে দিতে হবে।

তৃতীয় পরামর্শ, প্রধান অর্থনৈতিক দেশ, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতগুলোকে জলবায়ু মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তা ও আবিস্কারের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। এবং চতুর্থ পরামর্শ, সংশ্লিষ্ট জাতিগুলোর মাঝে সবুজ অর্থনীতি এবং কার্বন নিরপেক্ষ প্রযুক্তি উৎপাদনে নজর দিতে হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জলবায়ু ইস্যুতে বিশ্ব নেতাদের চার পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

আপডেট টাইম : ১০:০৮:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ এপ্রিল ২০২১

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কার্বন নিঃসরণ ঘটিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকার ‘মুজিব জলবায়ু উন্নয়ন কর্মসূচি’ হাতে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আহ্বানে শুরু হওয়া জলবায়ু সামিট-২০২১ তে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ কথা জানান।

বক্তব্যের শুরুতেই সামিটের আয়োজন ও আমন্ত্রণ জানানোর জন্য প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে কাজ করার অংশ হিসেবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে আসাকে স্বাগত জানায় বাংলাদেশ।

জলবায়ু মোকাবিলায় প্রতিবছর আমরা প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার অর্থ ব্যয় করি। যা মোট জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশ, যোগ করেন শেখ হাসিনা।

 

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে ৩০ মিলিয়ন বৃক্ষরোপণ করা হয়েছে এবং কার্বন নিঃসরণ ঘটিয়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে ‘মুজিব জলবায়ু উন্নয়ন কর্মসূচি’ হাতে নেওয়া হয়েছে।

জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম (সিভিএফ) এবং ভি২০- এর চেয়ারম্যান হিসেবে বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য হলো জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর মাঝে ইন্টারেস্ট ধরে রাখা। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক কার্যালয় পরিচালনা করছি।

এ সময় জলবায়ু মোকাবিলায় চারটি পরামর্শ দেন বাংলাদেশের সরকার প্রধান। বলেন, কার্বন নিঃসরণের মাধ্যমে বৈশ্বিক তাপমাত্রা ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে উন্নত দেশগুলোকে তাৎক্ষণিক এবং উচ্চমানের পদক্ষেপ নিতে হবে। উন্নয়নশীল দেশগুলোকেও এই সেক্টরে নজর দিতে হবে।

 

দ্বিতীয় পরামর্শটি হলো, বার্ষিক টার্গেট ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল নিশ্চিত করতে হবে। যা জলবায়ুতে ক্ষতিগ্রস্ত সম্প্রদায়ের প্রতি বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার জন্য অভিযোজন এবং প্রশমনের ক্ষেত্রে ৫০-৫০ করে ভাগ করে দিতে হবে।

তৃতীয় পরামর্শ, প্রধান অর্থনৈতিক দেশ, আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি খাতগুলোকে জলবায়ু মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তা ও আবিস্কারের ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। এবং চতুর্থ পরামর্শ, সংশ্লিষ্ট জাতিগুলোর মাঝে সবুজ অর্থনীতি এবং কার্বন নিরপেক্ষ প্রযুক্তি উৎপাদনে নজর দিতে হবে।